টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ১৭৮টি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধ করেছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) থেকে পোর্টালগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত – গত সোমবার (১১ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ১৭৯টি নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিলকরণসহ লিংক বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, তালিকায় ২৪ নম্বরে থাকা নিউজহান্ট ডটকম ডটবিডি নামে অনলাইন পোর্টালটির লিংক বন্ধ না করে চালু রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গনমাধ্যমকে বলেন, আমরা গত পরশু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে অনিবিন্ধত নিউজ পোর্টালগুলোর তালিকা পেয়েছি। গতকালই এগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ওপর উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে অনিবন্ধিত পোর্টালগুলো বন্ধ করার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যে তালিকাগুলো আমাদের দিয়েছে তা অনিবন্ধিত পোর্টাল হিসেবে, সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসের (২৮ সেপ্টেম্বর)অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে বিটিআরসি। কিন্তু সে সময় ভুলের কারণে নিবন্ধিত কয়েকটি অনলাইনও বন্ধ হয়ে যায়। এর পরপর অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
অপসাংবাদিকতা রোধে অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন কার্যক্রম গত বছর থেকে শুরু করেছে সরকার। অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা অনুযায়ী নতুন কোনো অনলাইন পত্রিকা চালু করতে হলে সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালায় বলা হয়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে প্রকাশিত ইন্টারনেটভিত্তিক রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং এ জাতীয় অন্য কিছু অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ নীতিমালায় অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনার জন্য একটি গাইডলাইন থাকবে এবং এ জন্য নিবন্ধন লাগবে। সম্প্রচার কমিশন এ নিবন্ধন দেবে।
অনলাইন গণমাধ্যম নিবন্ধনের জন্য কমিশনের কাছে একটি নির্ধারিত ফি দিতে হবে। তবে এখনও সম্প্রচার কমিশন গঠন না হওয়ায় নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন কার্যক্রমের কর্তৃপক্ষ হিসেবে তথ্য অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।