সাংবাদিক ও অন্য কর্মচারীর চাকরির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে “গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়।
সাংবাদিক ও অন্য কর্মচারীর চাকরির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে “গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২” তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসাম মাহমুদ বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর তা সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিলে গণমাধ্যম ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শ্রমিকের পরিবর্তে কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিধান রয়েছে।
মজুরি বোর্ড প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকসহ সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।
বিল অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের সময় সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টা হবে। নৈমিত্তিক ছুটি হবে ১০ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন এবং অর্জিত ছুটি হবে বার্ষিক ৬০ দিনের পরিবর্তে ১০০ দিন।
এ ছাড়া উৎসবের ছুটি থাকবে বছরে ১০ দিন। বিনোদন ছুটি প্রতি তিন বছর পর এক মাসের জন্য এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকবে ছয় মাস।
কেউ বা সংস্থা বিলের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, “কেউ বা কোনো সংস্থা বিলের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড দেওয়া হবে”।
২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২–এর খসড়া অনুমোদন দেয়।