ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: বাংলাদেশিসহ ৮৪ জনকে উদ্ধার, ৪৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

google news

তিউনিশিয়ার উপকূলের কাছে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে বাংলাদেশ, মিসরসহ চারটি দেশের অন্তত ৪৩ জন অভিবাসী ও শরণার্থীর ভূমধ্যসাগরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

এসময় ডুবে যাওয়া ওই নৌকার অন্য আরও ৮৪ আরোহীকে উদ্ধার করেছে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী।

রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও একই নৌকায় থাকা ৪৩ জন ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছেন বলে উদ্ধার হওয়ার তথ্য দিয়েছেন।

উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশ, সুদান, মিসর, ইরিত্রিয়া ও চাদের নাগরিক রয়েছেন।

এর আগে, গত রোববার লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ভেঙে যায়। পরে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী ওই নৌকা থেকে ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে।

এ সময় নৌকাটিতে অন্য দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ পাওয়া যায়। নৌকাটি থেকে উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বাংলাদেশ, মিসর, ইরিত্রিয়া, আইভরিকোস্ট, মালি, নাইজেরিয়া, সিরিয়া এবং তিউনিসিয়ার নাগরিক বলে জানিয়েছিল তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া গত ২৪ জুন ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৬৪ জনই বাংলাদেশি।

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় ওইদিন তাদের উদ্ধারের তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

উল্লেখ্য, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ৮০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছেন; যাদের বেশিরভাগই সংঘাত এবং দারিদ্র থেকে বাঁচতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছেড়ে পালিয়েছেন।

কিন্তু গত বছরের একই সময়ে ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পৌঁছানোর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ হাজার ৭০০।

মতামত দিন