কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে দুই পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ১৫ ঘণ্টার মাথায় টেকনাফের হ্নীলায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালি ভিলেজ পাড়ায় এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ বলেন, পানখালি ভিলেজ পাড়ায় স্থানীয় সৈয়দ আলমের বাড়িতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারা সবাই একই পরিবারের।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ভিলেজ পাড়ায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জন মাটি চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই শিশু।
উদ্ধার কাজ চালাতে ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা একযোগে কাজ করছে। তবে কেউ নিখোঁজ নেই।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রও খোলা রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ শুনতে চায় না। বৃষ্টিপাত এখনো অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে উখিয়ার ক্যাম্প ১০ এ পাহাড়ধসে পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। মাটির চাপায় আহত হন ৩ জন।
আহতদের ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ঢলের পানিতে ডুবে ক্যাম্প-১৮ তে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এছাড়া পাহাড়ধসে টেকনাফে হোয়াইক্যংয়ে এক নম্বর ওয়ার্ডে রকিম আলী নামে একজনের মৃত্যু হয়।
আর মহেশখালি উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তর সিপাহিপাড়ায় মাটির দেয়াল চাপায় মোরশেদা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রাণ হারানো পাঁচজন হলেন, নুর বাহার, দিল বাহার ও তার দুই সন্তান তিন বছরের আব্দুর রহমান ও দুই বছরের আয়েশা সিদ্দিক এবং শফিউল আলম।