১৮ বছরের ঊর্ধ্বে অনেকেরই জাতীয় পরিচয় পত্র নেই। তাদের টিকা দিতে গেলে মাঠে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে যা সামাল দেওয়া যাবে না।
এ কারণে গণটিকার বয়সসীমা ২৫-ঊর্ধ্ব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ১৮ বছরের বেশি বয়সীদেরও করোনার টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
শুরুতে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে।
যা বর্তমানে ২৫ বছর করা হয়েছে।
সবাইকে টিকার আওতায় আনতে ধারাবাহিকভাবে বয়সসীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সুরক্ষা অ্যাপটা ম্যানেজ করে আইসিটি বিভাগ।
বিশ্বে মহামারী বাঁধিয়ে দেওয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষায় টিকার উপরই ভরসা করা হচ্ছে। দেশে সরকার বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে।
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার আগে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। সরকার ঘোষিত বয়সসীমা অনুযায়ী যারা টিকা নেওয়ার জন্য যোগ্য, শুধু তারাই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারছেন।
অন্যদিকে টিকার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা বয়সমীমার বাইরে।
মহামারি মোকাবিলায় সম্মুখসারির কর্মী, বেশ কিছু পেশাজীবী শ্রেণি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, প্রবাসী কর্মী এবং অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা নির্ধারিত বয়সসীমার শর্তের বাইরে থেকেও নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে স্থানীয় টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
এদিকে মহামারি করোনার ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব। করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের কাছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোও ধরাশায়ী। পৃথিবীজুড়ে টিকা কার্যক্রম চললেও থামছে না সংক্রমণ ও মৃত্যুহার।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ও সংক্রমণ বেড়েছে।
এ সময় মারা গেছেন আরও ১০ হাজার ৩৯২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন। আর গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মারা যান আরও ১০ হাজার ১০৫ জন এবং আক্রান্ত হন ৬ লাখ ৩১ হাজার ২৯৯ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৩৬২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২০ কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৭ জন।