বাংলাদেশে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি ও নিউজ-সংক্রান্ত ফেসবুক পেজ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দেশের সাংবাদিকদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয়ে বিধিমালা কেন করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি ও নিউজ-সংক্রান্ত ফেসবুক পেজ বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মোহাম্মদ জয়নুল ইসলাম গত মাসে রিটটি দায়ের করেন।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর দেওয়া রুলের বিষয়টি আজ (সোমবার) জানা যায়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রাফিকা খাতুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে আইনজীবী সৈয়দা রাফিকা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক সময় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
এসব খবর মূলত অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভি ও ফেসবুক পেজে দেখা যায়। এসব ঘটনা অহরহ ঘটছে।
এতে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হলে আদালত ওই রুল জারি করেন।